সিলেট ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
প্রতিনিধি /গোলাপগঞ্জঃঃ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হয়।
এ সময় সিলেট জাকিগঞ্জ সড়কের দু’পাশে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীস্থ এলাকায় ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ প্রায় শতাধিক স্থাপনা বিভিন্ন ধরনের ফলের দোকান, পানের বাক্স, সবজির দোকান, ফ্যাস্টুন, বিল বোর্ড, ব্যানার সহ বিভিন্ন দোকানের সামনে রাখা অরক্ষিত মালামাল এবং স্থায়ী ভাবে বসানো বিভিন্ন রকম সাইন বোর্ড এ সময় উচ্ছেদ ও অপসারন করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান। অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী (ভূমি) শবনম শারমিন, পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান সহ সঙ্গীয় এক দল পুলিশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, টিআই দেলোয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ,গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এনামুল হক এনাম, কোষাধ্যক্ষ জালাল আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবীদ মুহিউসুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, পৌর কাউন্সিলর জহির উদ্দিন সেলিম, এম ফজলুল আলম, জবান আলী, আব্দুল জলীল, পরিবেশবাদী আব্দুল লতিফ সরকার, নাগরিক কমিটির সভাপতি এসএ মালেক, মাছ বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি ইজ্জাদ আলী, সমাজ সেবী এম সিরাজুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ,জামাল আহমদ সহ গোলাপগঞ্জ বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রহমান ভেরাটিজ ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জায়েদুর রহমান জাহেদ জানান এরকম উচ্ছেদ অভিযান সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী সকলকে। এর ফলে বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেল, সাধারণের চলাচলে আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকল না। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধেও ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
এব্যাপারে পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, এ উচ্ছেদ আভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যহত থাকবে। আগামী রোববারে আবারও আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। কেউ যদি এর বিপরীতে যায় তাহলে প্রশাসনের সহযোগীতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমনা ও করা হবে। আমরা চাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদর এলাকা একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পূনরায় কেউ যদি আবারো ফুটপাত দখল করে কোন ধরনের স্থাপনা করে তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।