সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
প্রতিনিধি/জুড়ীঃঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ‘জুড়ী নদী’র দু’পাড়ের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে দুই বছর থেকে শুরু হওয়া জুড়ী নদী পুন:খনন কাজ আটকে ছিল। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। অভিযান চলবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে জুড়ী নদী ফুলতলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মিশেছে। এটি এ উপজেলার প্রধান নদী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। এ ছাড়া নদীর দুপাশের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠে বিভিন্ন স্থাপনা।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাউবো প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ৮ দশমিক ৭০০ কিলোমিটার জায়গা পুনঃখননের কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের ৩১ মে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দেরি হওয়ার কারণে কাজের মেয়াদ চলতি বছরের (২০২১) নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পাউবোর পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানিয়ে উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয় এবং সেইসাথে দখলদারদের নোটিশ দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। এ সময় কোথাও বুলডোজার আবার কোথাও হাতুড়ি দিয়ে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৗশলী মো. আকতারুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতারুজ্জামান বলেন, জুড়ী নদীর দুই পাশ দখল করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। অবৈধস্থাপনা গুলো উচ্ছদের জন্য অনেকবার দখলদারদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। সরকারের সম্পদ উদ্ধারে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে যেসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করে নদীর দুই পাশ সংস্কার করা হবে। নদী রক্ষায় সব ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।