সিলেট ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২০
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
বিবাহ জীবনের একটি অনুষঙ্গ। বিবাহ করার জন্য অনেক হাদিসে উৎসহ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তালায়া কোরআনে বিবাহ করার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিবাহ করার ক্ষেত্রে কেমন পাত্রী নির্বাচন করতে হবে এ বিষয়ে জানতে চান অনেকেই। বিবাহের ক্ষেত্রে কোরআন হাদিসের নির্দেশনা তুলে ধরা হল। ঈমানদার: বিবাহের জন্য সবার প্রথম পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, ‘আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে। নিশ্চয়ই একজন মুসলমান ক্রীতদাসী, মুশরেক স্বাধীনা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও (দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য অথবা সম্পদের কারণে) তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। সুরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত ২২১
দ্বীনদারী বা ধার্মিকতা: দুনিয়াতে একজন মুমিনের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তী হলো একজন নেককার স্ত্রী। সম্পদ বা সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের অনেক কল্যান ও শান্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে।সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের বাগানে আফিম চাষ ≣ ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ঢাকাবাসীকে শরীক হওয়ার আহবান তাবিথ আউয়ালের ≣ ভারতে আশার আলো ভোডাফোনে, ডিসেম্বরে ৮ গুণ কমেছে লোকসানএ প্রসঙ্গে রাসুল সা. এরশাদ করেছেন, ‘মানুষ সাধারণত নারীদের মাঝে চারটি গুণ দেখে বিবাহ করে, তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। (কিন্তু এমন করবেনা), তোমরা বিয়ের জন্য ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার দাও। তোমরা যদি ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার না দাও, তাহলে অবশ্যই তোমাদের দুই হাত ধূলায় ধূসরিত হবে (অর্থাৎ, নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের জন্য মন্দ ও অকল্যান ডেকে আনবে)। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম
পর্দানশীল ও বিনয়ী: বেপর্দা নারী মানেই অহংকারী, অহংকারী কারো জন্য স্বামীর আনুগত্য বজায় রাখা খুবই কষ্টকর, আর এদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে। অথচ শিক্ষিত/অশিক্ষিত, আলেম হোক আর জালেম হোক, শতকরা ১০০ ভাগ পুরুষ স্ত্রীর কাছ থেকে আনুগত্য কামনা করে, এবং স্ত্রীর অবাধ্যতাকে ঘৃণা করে। একবার এক সফরে রাসুল (সাঃ) সাহাবাদেরকে নিয়ে একটা পাহাড়ে উঠলেন। সেখানে হঠাত তারা একটা কাক দেখতে পেলেন, যার পা ও ঠোট ছিলো লাল। এই ধরণের কাক আসলে খুবই বিরল, দেখতে পাওয়া যায়না বললেই চলে। সাহাবারা এতো বিরল একটা জিনিস দেখে আশ্চর্য হয়ে বলাবলি করতে লাগলেন। রাসুল সা. তখন বললেন, এইরকম কাকের মাঝে লাল পয ও লাল ঠোটওয়ালা কাক যেমন অত্যন্ত বিরল,
তেমনি নারীদের মাঝে যারা বেপর্দা চলাফেরা করবে তাদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে ইলম ও আমল: ইলম ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা বা বিপদ-আপদ ও ফেতনার সময়ে ঈমান নিয়ে টিকে থাকা খুবই কষ্টকর, যা বর্তমান যুগে খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে। সঙ্গী/সঙ্গীনীর যদি জ্ঞানের ব্যপারে ত্রুটি থাকে, তাহলে তার প্রভাব আপনার উপরেও পড়বে। রাসুল সা. বলেছেন, “একজন মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপরেই আছে।”
থিওরিটিক্যালি স্বামী/স্ত্রী একজন অপরজনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হওয়ার কথা। সুতরাং, জ্ঞানী, ইসলামী জীবন-যাপনে আগ্রহী ও অভ্যস্ত এমন কাউকে বিয়ে করতে চেষ্টা করুন যে আপনার দ্বীনের ব্যপারে সাহায্যকারী হবে, বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। প্রেমময়ী, অধিক সন্তান জন্মদানকারী এবং পারিবারিকভাবে সমতা বজায় রাখার প্রতিও কোরআন হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।