সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জুতা পায়ে অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের ঘটনায় রংপুর জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
১৭ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতির বেদীতে জুতা পায়ে ফুল দেন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, প্রক্টর, মুখপাত্র ও জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুরজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়ে। অনেকে এটাকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগ তুলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার এক যুগ হলেও বঙ্গবন্ধুর কোন প্রতিকৃতিতে স্থাপন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফুল দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ট্রেজারার হাসিবুর রশীদ, প্রক্টর আতিউর রহমান, মুখপাত্র ও জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান জুতা পায়ে অস্থায়ী বেদীতে উঠেন। জুতা পায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জাতির পিতাকে অবমাননার শামিল। হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করলে তারা এটা করতে পারতোনা। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এমন উচ্চ মানের মানুষদের কাছ থেকে এরকম ঘটনা চরম সীমা লঙ্ঘন ও জাতির পিতাকে সুস্পষ্ট অবমাননা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা যদি এমন করেন তাহলে জাতি কি শিখবে তাদের কাছে?
বিষয়টি নিয়ে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, এরকম ঘটনা সত্যি দুঃখজনক। দেশের উচ্চবিদ্যাপিঠের অভিভাবকদের কাছ থেকে এরকম ঘটনা মেনে নেয়া যায়না।