সিলেট ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::
অভিযান শুরুর আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে সিলেট নগরীর ফুটপাত ও সড়কগুলো। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং পুলিশের প্রস্তুতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকেই হকাররা সরে পড়েন। ফলে দুপুরের মধ্যেই নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজার, লামাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার ও তালতলা এলাকায় দেখা গেছে হকারমুক্ত ফুটপাতের দৃশ্য।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের যৌথ ত্রিমুখী অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে মাঠে নামছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
বিকেল ৩টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, “কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযান শুরু হবে। নগরীর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এতে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।”
তিনি আরও জানান, “অভিযানে প্রায় ২৫০ জন পুলিশ অংশ নেবে। লক্ষ্য একটাই—ফুটপাত ও সড়ক পুরোপুরি হকারমুক্ত রাখা।”
এর আগে গতকাল শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবিবার সকাল থেকে নগরীর কোনো সড়ক বা ফুটপাতে হকার বসতে দেওয়া হবে না। এ নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযান শুরু হওয়ার আগেই হকাররা তাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ায় নগরজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্ন চিত্র। দীর্ঘদিন পর এমন পরিচ্ছন্ন সড়ক দেখে খুশি নগরবাসী।
জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল হক বলেন, “আজ দুপুরে বের হয়ে দেখি ফুটপাত ফাঁকা, যানজট নেই। মনে হচ্ছে সত্যিই পরিবর্তন আসছে।”
নগরবাসী প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানালেও তাদের আশঙ্কা—এই অবস্থা কতদিন থাকবে? আবারও কি পুরনো চিত্রে ফিরে যাবে শহর?
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযান একদিনের নয়, চলবে ধারাবাহিকভাবে—যতদিন না পর্যন্ত নগরীর ফুটপাত ও সড়ক পুরোপুরি দখলমুক্ত রাখা যায়।
অপরদিকে, আপন ঠিকানায় হকারদের ফেরাতে লালদিঘীরপারস্থ হকার মার্কেটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। চলছে শেষ মুহুর্তের কাজ। এখানে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার হকারের ব্যবসার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য আলাদা এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।