সিলেট ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৪
স্টটুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিলেটের এক ট্রাভেলস মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধরার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।
অভিযুক্ত সুমন আহমদ (৩০) মহানগরের আম্বরখানা গোল্ডেন টাওয়ারের স্টাডি রাইট নামে একটি ট্রাভেলসের মালিক।
ভুক্তভোগী নারী উম্মে সুমাইয়া খানম (২২) গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্ৰ দিঘলিয়া গ্রামের আহমেদ মোল্লার স্ত্রী। বর্তমানে এই দম্পিতি রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় বসবাস করছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ট্রাভেলসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ঐ নারী। ৮-৯ লক্ষ টাকা খরচে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ট্রাভেলসের মালিক সুমন। আইএলটিএস কোর্স সর্ম্পন্ন করার পর গত বছরের নভেম্বরে এমওআই সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং আবেদনের জন্য ১৪ হাজার টাকা সর্বমোট ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা নেয় ঐ ট্রাভেলসের মালিক। কিন্তু পরে একটি নকল সার্টিফিকেট দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে ৩৫- ৪০ লাখ টাকা লাগবে বলে জানায়। এই টাকা দিতে অপারগতা দেখিয়ে ঐ নারী তার পূর্বে দেওয়া টাকা ফেরত চান। কিন্তু তা দিতে গরিমশি করে ট্রাভেলস মালিক। এক পর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করে ট্রাভেলস মালিক সুমন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী উম্মে সুমাইয়া খানম সিলেটভিউকে বলেন, ঐ ট্রাভেলস মালিক যেহেতু আমাদের প্রসেসিং করতে পারেনি তাই সে আমাদের টাকা দিয়ে দিবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করলো। বারবার ঢাকা থেকে আমাদের সিলেট এনে কথিত আশ্বাস দিয়ে এক পর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, গতকাল মার্কেট কমিটিসহ ট্রাভেলস মালিককের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা বিচার-শালিসের নামে প্রথমে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে অর্ধেক টাকা নিতে আমাকে অনুরোধ করা হয়। পরে সেই টাকাও দিতে অপারগতা দেখিয়ে শুধুমাত্র ৩০ হাজার টাকা নিতে বলা হয় আমাকে। কিন্তু আমি আমার পুরো টাকা চাই।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আহমেদ মোল্লা সিলেটভিউকে বলেন, মার্কেট কমিটিসহ স্থানীয় কিছু মানুষকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু সে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে আমাদের টাকা দিসে অস্বীকার করছে। নানাসময় বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে, অনেক সময় আমাদের ভয় দেখিয়ে এ ব্যাপারে আর কথা না বলতে হুমকি দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আইনে আশ্রয় নিয়েছি।
অভিযুক্ত ট্রাভেলস মালিক সুমন আহমদ বলেন, এই ঘটনা সত্য। গতকাল মার্কেটে বসে এটা সমাধান করা হয়েছে। টাকা দেওয়ার জন্য একটা সময়সীমা নেওয়া হয়েছে।
ঐ মার্কেট কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন কয়েস বলেন, আমি বিষয়টি অবহিত রয়েছি। বিভিন্ন সময় আমরা আপষোর চেষ্টা করেছিলাম। গতকালও এই বিষয়ে ভোক্তভোগী নারী এসেছিলেন তাকে টাকা দেওয়ার জন্য একটি তারিখ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগরীর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুনু মিয়া বলেন, বিষয়টি আমারা খতিয়ে দেখছি।