ছুটি বাড়লে ভিডিও কনফারেন্সে নেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০

ছুটি বাড়লে ভিডিও কনফারেন্সে নেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে এই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ই-পাঠদানের (ভিডিও ক্লাস) ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কাজে এটুআই প্রকল্পের সহায়তা নেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘ স্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিঘ্নিত হবে। শিক্ষার্থীদের এই ঘাটতি পূরণে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে— ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া জন্য। থানা শিক্ষা অফিসার এবং ক্লাস্টার প্রধান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের বাবা ও মায়েদের নম্বর আমাদের কাছে রয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা ছুটির সময়ে নির্ধারিত পাঠ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবেন।

 

পাঠদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিহ্উল্লাহ বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুক্রবার সন্ধার পর বৈঠক করবো। আমরা ১৫ বা ২০ দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি তা নয়, দীর্ঘ সময়ের জন্যই এই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি। কী কী বিষয় কত ঘণ্টা পড়াবো তা ঠিক করা হচ্ছে।

 

তবে যেসব শিক্ষকদের ক্লাস ভিডিও রেকর্ডিং করাবো তারা এখন বেরুতে পারছেন না। আজকের বৈঠকের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি হলে, ছুটি যদি আর নাও বাড়ে, তবু ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এটি কাজে দেবে। আমরা মুক্তপাঠ,শিক্ষক বাতায়নে এসব ক্লাস দেবো সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে পাঠ গ্রহণ করতে পারবে। ’

সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশের আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশের ৬৫ হাজার ৬২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে মোবাইল ফোনে বন্ধকালীন সময় পাঠ্যসূচি যে ছিল, সেটা জানানো হবে অভিভাবকদের। প্রধান শিক্ষক ভার্চ্যুয়ালি মায়েদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পর্কে অবহিত করবেন। পাঠদানের ঘাটতি পূরণে চেষ্টা করতে মায়েদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয় ভিডিও কনফারেন্সে।

মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে অভিভাবকদের বিশেষ করে প্রত্যেক মায়ের নম্বর রয়েছে। আমরা শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রস্তুত করতে অধিদফতরের নির্দেশনা মতো কাজ করছি।

এদিকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নত মানের শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। আগামী রবিবার (২৯ মার্চ) থেকে এই অনুষ্ঠান শুরুর কথা রয়েছে।

মাথ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘রবিবার থেকে সংসদ টিভিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রণির ক্লাস শুরু হবে।’

Spread the love

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031