সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওয়াটারবুরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি ওই বৃদ্ধ মারা যান। কানেকটিকাটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী তিনিই প্রথম বাংলাদেশি।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পরিবারের কাউকেই চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি জানাননি। এর আগে অসুস্থতার কারণে তিনি স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তার ছেলে জানিয়েছেন। কানেকটিকাটের বিভিন্ন শহরে আরও ১৫ জন বাংলাদেশি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী ওই বাংলাদেশির বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াটারবুরি শহরে তার বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন। বর্তমানে তার চার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে এবং বাকি ২ ছেলে ও তিন চার মেয়ে বাংলাদেশ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে নিউ ব্রিটেন শহরে একই পরিবারে ৭ জন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি বরিশাল জেলায়। এছাড়াও ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে পাঁচজন এবং অন্যান্য শহরে আরও দুইজন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কানেকটিকাটের বিভিন্ন শহরে পাঁচ সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় নিজ নিজ বাসস্থানে অবরুদ্ধ হয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। তারা করোনা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।
কানেকটিকাটে প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এর মধ্যে ম্যানচেস্টার, স্টামফোর্ড, নিউ হ্যাভেন, ব্রিজপোর্ট, হার্টফোর্ড, ড্যানবুরি, সাউথ উইন্ডজোর, ব্রিস্টল, টোরিংটনও চেশায়ার শহরে বাংলাদেশিদের সংখ্যা অনেক বেশি। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত পড়েছেন প্রবাসীরা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ২ শত ৭৭ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত কানেকটিকাটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৮১ জনে।
করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। চলাফেরাও সীমিত করা হয়েছে। তবুও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।