করোনার অপর নাম ‘চাইনিজ ভাইরাস’

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০

করোনার অপর নাম ‘চাইনিজ ভাইরাস’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসকে ‘চাইনিজ ভাইরাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ মার্চ মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ভাইরাসটিকে এমন ভাষায় উল্লেখ করেন তিনি।টুইটে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে চীনা ভাইরাস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য শিল্পখাতকে জোরালো সহায়তা দেবে। আমরা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হবো!টুইটে স্পষ্ট যে, মার্কিন ব্যবসায়িক খাতকে চাঙ্গা করতেই এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

 

 

করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বভাবতই এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইতালি, ইরান, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলো। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের ১৬২টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতালিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় সব দোকান। ভারতও প্রায় সব ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে। টুইটার তার কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, অফিসে না এসে বাড়িতে থেকে কাজ করতে। পণ্য ও মানুষের চলাচলে এত রকম নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্য। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস মহামারির জের ধরে শিগগিরই বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপর্যয়। শুরু হতে পারে ভয়াবহ মন্দা।

 

 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু শহর ও এলাকা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির বিমান চলাচল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্ট। দোকানে ভিড় করে মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন। তাদের আশঙ্কা, কিছুদিন পর দোকানপাট একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। ইয়ারদেনি রিসার্চ ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা এড ইয়ারদানি লিখেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের মহামারির জেরে শিগগিরই শুরু হতে পারে অর্থনৈতিক মন্দা।’২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

Spread the love