সিলেট ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গ্রামটি ছিল হাতির পালের হামলার ঝুঁকিতে । ভুটানের জঙ্গল থেকে দল বেধে নেমে আসত এসব হাতির পাল। তারা যখন গ্রামে ঢুকে পড়ত তখন পালিয়ে বাঁচতে প্রায় গাছে উঠতে হতো সেখানের মানুষদের। চোখের সামনেই দেখতে হতো ঘরবাড়ি ভাঙ্গার চিত্র। এভাবে বহু বছর কাটানোর পর আসামের বাক্সা জেলার মুসলপুরের বাসিন্দা বিজয় ব্রহ্ম ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত গাছের ডালে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রায় ১৩ বছর ধরে গাছের ওপরে বাস করে বাস করা বিজয়কে গ্রামের মানুষ এখন বনমানুষ বলেই বলেই পরিচিত।
তিনি বলেন, মানুষের সংস্পর্শে আসতে পছন্দ করেনন না তেমন। শৈশবে অনাথ হয়েছেন তিনি। পরে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। চৌকি বনাঞ্চলের কাছে তার বাড়ি ছিল। ‘এককলা মানুষ, তাই ছোট্ট ঘরই ছিল তার সম্বল। কিন্তু সেটিও প্রায়ই ভেঙে দিত হাতিরা। বিজয় বলেন, বারবার এ ঘটনার পর ভাবলাম রাত নামলে যখন হাতির ভয়ে গাছেই উঠতে হয়, তখন খামোকা মাটিতে ঘর গড়ে কী হবে? তাই কাঠ, তক্তা জোগাড় করে বনে গাছের ওপরেই ছোট্ট ঘর তৈরি করে ফেলেন।
এর পর মানুষের বাড়িতে কাজ করা ছেড়ে দেন তিনি। জঙ্গলে যা পাওয়া যায়, তাই খেয়ে থাকতেন। বছয় ছয়েক চৌকি বনাঞ্চলের ভেতরে থাকার পর পাগলাদিয়া নদীর পারে খৈরানি পথারের কাছে নতুন একটি গাছে বাসা বেঁধেছেন বিজয়। সেখানেও প্রায় সাত বছর হতে চলল এই বনজীবী বলেন, বনের আলু, কচু, শাক, নদীর মাছ, শামুক, কাঁকড়া এসব খেয়েই তার দিন কেটে যাচ্ছে।
সূত্র এলবিএন : আন্দন্দবাজার, যুগান্তর