সিলেট ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
যাত্রী ডাকেন ভাড়া তোলেন আর দিনশেষে বিল জমা দিয়ে বুঝে নেন নিজের পারিশ্রমিক। প্রতিদিন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর থেকে চিটাগাং রোড আবার চিটাগাং রোড থেকে ঘাটারচর রোডে। প্রতিদিন চারবার যাওয়া-আসা করতে হয় তাকে। তার দুই পা নেই। দেহের ভর হাতের উপর দিয়ে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তোলেন তিনি। তবে অদম্য সাহস ও ইচ্ছাশক্তির ফলেই আজ তিনি কর্মমুখী। বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন দির্ঘ দিন থেকে তিনি। দিন রাত এভাবেই পরিশ্রম করে তিনি সংসার চালান। তার নাম নূর আমিন। পরিশ্রমী এই তরুণ এখন কাজ করেন রজনীগন্ধা পরিবহনে।
জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধী নূর আমিন। মাত্র ছয় বছর আগেও তাকে দেখা যেত শাহবাগ মোড়ে। ভিক্ষা করে জীবন চালাতেন তিনি। তবে একদিন হঠাৎ করে পরিবর্তন আসে তার জীবনের। বাস চালক খোকন তাকে প্রস্তাব দেন বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করার জন্য। যেন এমনই এক প্রস্তাবের অপেক্ষায় ছিলেন নূর আমিন।
মানুষের সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে তার পরিশ্রম বা চেষ্টা। পরিশ্রম এবং চেষ্টা দ্বারা যে কোনো কর্মেরই সুফল পাওয়া যায়। ভাগ্যের চাকা খুললে গরিবের কুঁড়েঘরও পরিণত হতে পারে রাজপ্রসাদে। তবে বাস্তবের সঙ্গে তা মেলে না। পরিশ্রম না করলে কোনো জাতি তথা কোনো দেশ উন্নতির দিকে এগুতে পারেনা। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে নোয়াখালীর নূর আমিন।
নূর আমিন জানান, ভিক্ষা আমার পছন্দ না। আমি যে কাজ করতে পারি, আমাকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে আমার এক ওস্তাদ। তার সঙ্গে আমি কাজ করছি। মালিকরা ও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
বাস চালক খোকন জানালেন নূর আমিনের বদলে যাওয়ার গল্প। তিনি বলেন, সে যখন ভাড়া তোলে অনেকেই খুশি হয়ে ৫০ বা ১০০ টাকা দান করতে চায়। তবে নূর আমিন তা নেয় না। সে পরিশ্রম করে যা পায় সেটা নিয়েই খুশি।