সিলেট ৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
ইউরোপের দেশ স্পেনে চোখ রাঙানি শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনা। শুধু শুক্রবারেই সে দেশের দেড় হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নতুন করে ১৬ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬। বিবিসি জানিয়েছে, স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫৩। এদের মধ্যে ৫১৭ জন সুস্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার নতুন আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় এক হাজারই রাজধানী মাদ্রিদের বাসিন্দা।
এই পরিস্থিতিতে সরকার জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে। প্রথমে ১৫ দিনের এবং পরে সংসদ মনে করলে আরও বেশি সময়ের জন্য তা বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থায় কোনো এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে আনার মতো নানা ক্ষমতা সরকারের হাতে দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪৩৮ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭২ হাজার ৫৫০ জন।
গত দুই সপ্তাহে ভাইরাসটি চীনের বাইরে ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বুধবার পৃথিবীব্যাপী অতিমহামারী (প্যানডেমিক) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১৯৩ জন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি এবং এর পর আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।
ব্রিটিশ বিবিসি জানিয়েছে, মাদ্রিদে সব স্কুল-কলেজ, পানশালা, খাবারের দোকান এবং অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মাদ্রিদে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কাতালোনিয়ায় ৭০ হাজার মানুষকে ১৪ দিনের জন্য অন্তরীণে বা সঙ্গরোধ করে রাখা হয়েছে। করোনার কারণে স্পেনের শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে শতকরা ২০ ভাগ।
এক সপ্তাহেই স্পেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবার সক্রিয় সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নতুন করে সংক্রমণ ঠেকাতে সেনা নামানো হবে বলেও সানচেজ জানিয়েছেন।