সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইতালি। সে অবস্থা থেকে ফিরতে পারলেও ইতালিতে পুরোপুরি নির্মূল হয়নি এ ভাইরাস। এর মধ্যেও আগামীকাল সোমবার সেখানে খুলছে দোকানপাট-রেস্তোরাঁ।
ইউরোপের অন্যতম সুন্দর ও পর্যটনের কেন্দ্রস্থল ইতালির অর্থনীতি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। এ অবস্থায় গত ৪ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়। স্বল্প পরিসরে চালু করা হয় উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত, পাইকারি পণ্যের দোকান, ফুল-ফলের দোকান। দীর্ঘ দুই মাস পর ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে যোগ দেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ।
ব্যস্ততম রাস্তাগুলো মুখরিত হতে শুরু করে মানুষের কোলাহল আর উচ্ছাসে। শহরবাসীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয় দেশটির ব্যস্ততম রাস্তা, পার্ক, সমুদ্র সৈকতসহ খোলামেলা স্থানগুলো। আগামীকাল থেকে দেশটির দৈনিক পণ্যের দোকান, রেস্তোরাঁ ও সেলুন খুলে দেওয়া হচ্ছে।
চালু করা হচ্ছে ধর্মীয় উপসনালয়গুলো। কাল থেকে ইতালির মসজিদগুলোতে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। সামাজিক দূরত্ব (১ মিটার) বজায় রাখার শর্তসাপেক্ষে মসজিদে একসঙ্গে ২ শতাধিক মুসল্লির নামাজ আদায় করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে শহরগুলোতে।
প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন। সেখানে ইতালির এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। করোনার প্রভাব পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় সবাইকে নিয়ম মেনে চলতেও আহ্বান জানান তিনি।
জুসেপ্পে কোন্তে জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইতালির স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই পিপিই পরিধান করে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ইতালির সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ রোববার পর্যন্ত করোনায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৯১৬ জনের। আক্রান্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার জন।